কাপ নিয়ে মেসির নাচ -মেসি ও ম্যারাডোনা মিলে গেলেন এক মোহনায়
বিধিলিপি দুজনকে এমন এক মোহনায় মিলিয়ে দিয়েছে, যা দেখে বিস্ময় না জাগাই অস্বাভাবিক। মেক্সিকোর আজতেকা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ জয়ের পর কেঁদেছিলেন ম্যারাডোনা। লুসাইলেও ঠিক একই চূড়ায় ওঠার পর মেসিও কেঁদেছেন। কেঁদেছেন আর্জেন্টিনার তরুণ সমর্থকেরা, যেভাবে ম্যারাডোনার হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে চোখের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল সেসব সমর্থকের বাবা-মায়ের প্রজন্মের।
আজ সেভাবেই সেই কান্নার স্রোত আছড়ে পড়েছে লুসাইল ও আর্জেন্টিনার সীমানা ডিঙিয়ে পৃথিবীর আনাচ-কানাচে—তাবৎ আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চোখে কিংবা বুকে।
সেসব আনন্দশ্রুর দমকে সন্তুষ্টির যে বারিধারা বর্ষিত হলো, তা দেখে সেই পরম স্বত্ত্বাও নিশ্চয়ই খুশি হবেন! কতটা প্রার্থনায় এই শিরোপা মেলে, কতটা অপেক্ষায় সেই শিরোপাটা আর্জেন্টাইন ফুটবলের বরপুত্রের হাতের ওঠে—উদাহরণ হয়ে থাকবে এ পৃথিবীর সব অপেক্ষাধীন মানুষের জন্য। মেসিকে দেখে নিজ নিজ প্রার্থনার হাত হয়তো তাঁরাও ছাড়বেন না!
মেসির চোখে সুখের কান্না
রবের্তো চেয়াসকে কোথাও দেখা গেল না। আর্জেন্টিনা থেকে তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা জেতার পর আজতেকা স্টেডিয়ামে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে কাঁধে তুলে ধরেছিলেন চেয়াস। সেই ছবি গোটা পৃথিবীর চেনা। লোকজনের ভিড়ের দঙ্গলে সবার ওপরে দুই হাতে বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরেছেন ম্যারাডোনা।
লুসাইলেও কাল তেমনই একটি ছবি দেখার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন আর্জেন্টাইনরা। লোকজনের ভিড়ের দঙ্গলে সবার ওপরে বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরেছেন লিওনেল মেসি। সেই স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হলো। ফুরাল আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষা। কিংবদন্তি হিসেবে মেসির যে অপূর্ণতাটুকু ছিল, সেটুকুও ঘুচে গেল। আর্জেন্টাইন ফুটবলে ইতিহাসের পাতায় ডিয়েগো ম্যারাডোনার পাশেই উচ্চারিত হবে মেসির নাম।
সর্বকালের সেরা নিয়ে তর্ক থাকলেও সেই তালিকায়ও তাঁর নামটা থাকবে অনেক উঁচুতে। ১৯৮৬ ও ২০২২ যে এখন পাশাপাশি! ’৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা যেভাবে কেঁদেছিলেন, সেভাবেই কাঁদলেন মেসি। কেঁদেছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরাও। এই কান্না সুখের, এই কান্না আনন্দের, এই কান্নায় বুকে সুখের ব্যথা বাজে!
#Thanks
Md. Jahidul Islam chtpur